রামপাল কলেজ

রামপাল, মুন্সিগঞ্জ

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

রামপাল কলেজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

রামপাল কলেজ বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করে ‘স্মার্ট ও আলোকিত প্রজন্ম’ গড়ার লক্ষে অংশগ্রহণমূলক ও সৃজনশীল শিক্ষা দিয়ে আসছে। সৃজনশীল চিন্তাধারাকে শানিত করে আলোকিত মানব তৈরিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানবতাবাদ ও শান্তির প্রচারে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।

আমাদের লক্ষ্য রামপাল মহাবিদ্যালয়কে উৎকর্ষে ও মানে দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। আমরা নৈতিক আচরন, উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা, গ্রাহক ফোকাস, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও দৃষ্টিভঙ্গির সর্বোচ্চ মানন্নোয়নে মনোনিবেশ করিয়া থাকি।

একজন শিক্ষার্থী এই বিদ্যাপিঠ থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।

বাঙালি জাতির শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পর এ অঞ্চলের বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিরা দেশ গড়ার উজ্জীবনমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ইতিহাসের রামপাল দিঘির উত্তর তীরে ১৯৭২ সালের ২১ আগস্ট রামপাল কলেজের গোড়াপত্তন করেন। এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী। নতুন ইতিহাস সৃষ্টির যাত্রা শুরু করে ‘রামপাল মহাবিদ্যালয়’।

আরও...

কিংবদন্তি আছে মহান বাঙালি বিজ্ঞানাচার্য স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একবার এ পথে যাবার সময় রামপাল দিঘির উত্তর পার্শ্বে একটি কলেজ হতে পারে বলে মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। তার উত্তরসূরী রামপালের উদার মানুষেরা সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেন ১৯৭২ সালে। তৎকালীন সংসদ সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মরহুম আব্দুল করিম বেপারি ও তৎপরবর্তী সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান এর নেতৃত্বে মরহুম হাজী হাফিজ উদ্দিন হাওলাদার, মরহুম হাজী আ: রহমান মিয়া, মরহুম আ: জলিল শিকদার প্রমুখের সক্রিয় প্রচেষ্টায় রামপাল কলেজ প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। শুরুতে রামপাল এন.বি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষাব্রতি জনাব আব্দুল লতিফ ভূঁঞাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে পাঠদান প্রক্রিয়া সূচিত হয়। ১৯৭৪-৭৫ সালে বর্তমান অবস্থানে কলেজটি স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা পায়। এ সময় হতে কলেজের স্থাবর সম্পত্তি বৃদ্ধিতে জনাব মরহুম হাফিজ উদ্দিন হাওলাদার (পূর্ব দেওসার), মরহুম হাজী রমিজউদ্দিন হাওলাদার (পূর্ব দেওসার), আলহাজ্ব আরশাদ আলী (চন্দনতলা), জনাব মরহুম মোছেন উদ্দিন মিয়া (শাঁখারী বাজার), ক্বারী আমির হোসেন হাওলাদার (চুড়াইন), জনাব এ.কে,এম মোতাম্মিনুর রশিদ ও অন্যান্য (সিপাহীপাড়া), মো: শামছুদ্দিন শিকদার (সুজানগর) এবং জনাব আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন পুস্তির নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।  


প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং এলাকাবাসীর স্বতঃপ্রণোদিত উদার সহযোগিতায় ধাপে ধাপে কলেজটি বর্তমান পর্যায়ে উন্নীত হয়। এ ক্ষেত্রে কলেজের সুরম্য অবকাঠামো নির্মাণসহ আধুনিকায়নে কলেজ কমিটির সাবেক সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সাবেক তথ্যমন্ত্রী জনাব এম. শামসুল ইসলামের অবদান অবিস্মরণীয়। চলমান এই প্রাগ্রসর কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নের ক্ষেত্রে সাবেক সভাপতি জনাব এম ইদ্রিস আলী এম. পি মহোদয় অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এম.পি মহোদয়ের বদান্যতায় গড়ে উঠেছে চারতলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন।পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি জনাব মো: মিজানুর রহমান (পি পি এম) ডি আই জি মহোদয় শিক্ষার মানোয়ন্ননে ঐকান্তিক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।